পোস্টগুলি

সর্বনাশা সর্প নেশা পর্ব ২

ছবি
         🐍🐍👅সর্বনাশা সর্প নেশা🐍🐍👅                                পর্ব ২ ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ 'যখন নেশায় আমার রাস্তা টলে কেউ আমাকে মাতাল বলে অমনি সোজা চলে যাই দেখিয়ে, সোজা চলে যাই দেখিয়ে, সোজা চলে যাই দেখিয়ে ভাবছো যা তা নইতো আমি যখন তুমি আমায় মাতাল বলো ধন্য যে হয় সে মাতলামি ধন্য আমি ধন্য হে, মাতাল তোমার জন্য যে। ধন্য আমি ধন্য হে, মাতাল তোমার জন্য যে।' ভগৎ যখন মাতাল থাকে না তখন মুডে থাকে, তাই মান্না দের সুর গুন গুন করছিল। কে যেন ব্যঙ্গ করে বলেছিল  'ওই সব ছিচকে সাপের ছোবল স্রেফ নামকেবাস্তে, ওতে কিস্যু হয় না।' অমনি ফুঁসে উঠল ভগৎ, মুখে মহাগুরুর সেই বিখ্যাত উক্তি নিজেস্ব ভঙ্গিতে ' ওগুলো জলঢোরাও নয়, বেলেবোরাও নয়, একেবারে জাত গোখরো। এক ছোবলে ছবি।' প্রশ্ন হল জাত গোখরো যদি হবে তবে এতদিনে ভগতের ছবি হয়ে যাওয়ার কথা।  তবে? একটু ঝারাই বাছাই করে নেওয়া যাক, বিষের যদি নেশা হবে তবে তার চরিত্র কেমন হবে? ওগুলি কোষ ধ্বংসকারী বা রক্ত ধ্বংসকারী নয়, ওই বিষের চরিত্র হবে এমন যা স্নায়ু কলার উপর প্রভাব বিস্তার করবে, হয় উদ্দীপিত অথবা কাজে বাঁধা প্রদান করবে দেহ তথা মগজের

সর্বনাশা সর্প নেশা পর্ব ১

ছবি
         🐍🐍👅সর্বনাশা সর্প নেশা🐍🐍👅                                পর্ব ১        ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ ছোটবেলায় দূরদর্শনে এক ধারাবাহিকে দেখেছিলাম বিষ পুরুষ, বিষ কন্যার কাহিনী।  কিভাবে বিষাক্ত সাপের ছোবল জিভে নিয়ে সর্বাঙ্গীন বিষাক্ত হয়ে উঠত সেই মানুষ। তার নখের আঁচড় যথেষ্ট একটি মানুষের প্রাণ নাশের জন্য। বড় হয়ে ভাবতাম সে হয়ত রূপকথার গল্প। অপ্রচলিত কিছু কাহিনীতে শুনেছিলাম চনক্যের এক কীর্তির কথা।  কূট কৌশলী চানক্য নাকি মহারাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে গোপনে বিষ সেবন করাতেন যাতে তার গুপ্ত হত্যা প্রতিরোধ করা যায়। এতে মহারাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য নাকি বিষ পুরুষে পরিণত হয়েছিলেন যার লালা অবধি ছিল বিষাক্ত। ভেবেছিলাম এসব গপ্প-বই কিস্যু না। কর্মসূত্রে খিদিরপুরে দেখা পেলাম রাজ দেও ভগতের ( নাম পরিবর্তিত) সাথে, যে কিনা সাপের বিষের নেশা করে। তার মতে মদে সেই মাদকতা নেই যা বিষে আছে। যখন টলতে টলতে আসত বা খানা খন্দ থেকে ধরে আনা হত সত্যি গায়ে মদের গন্ধ পেতাম না। তবে কি সত্যি বলছে ও, নাকি এটি গাঁজাখুরি গপ্প! ওর কাছে জেনেছিলাম গোখরো (The Indian cobra (Naja naja)), কালচিতি {common krait (Bungarus c