বৃহৎ ব্যেলান্টিডিয়াম বক্তব্য
বলতাম ব্যেলান্টিডিয়াম কলি কথা
🦠🦠🦠🦠🦠🧫🧫🧫🧫🧫🥩🥩🥩🥩🥩
আচ্ছা প্রাচীন জানোয়ারের নাম কি??
ডাইনোসর, টাইটিনো বোয়া ইত্যাদি তাই না??
যদি নামই বলতে হয় তবে বলা ভাল, প্রাণী জগৎ দুই প্রধান সাম্রাজ্যে বিভক্ত
এককোষী
বহুকোষী
এখন বহুকোষী যারা তারা মেটাজোয়া metazoa সাম্রাজ্যের অধীনে।
এককোষী দের মধ্যে যাদের নির্দিষ্ট নিউক্লিয়াস নাই তারা prokaryote প্রোক্যারিওট,
গ্রীক শব্দ প্রো মানে পূর্বে বা আগে এবং karyon ক্যারিঅন মানে বাদাম বা অন্তর্বীজ।
সুতরাং প্রাচীন কোষ।
এককোষী দের মধ্যে যাদের নির্দিষ্ট নিউক্লিয়াস আছে এবং সুন্দর করে অবরণীতে সংরক্ষিত তাদের বলে eukaryote ইউক্যারিওট।
গ্রীক শব্দ ইউ মানে ভালো এবং karyon ক্যারিঅন মানে বাদাম বা অন্তর্বীজ।
অতএব সুগঠিত কোষ।
এই ইউক্যারিওট ধরাধামে এসেছে ২•১--১•৬ বিলিয়ন বছর আগে, সময়কাল কে বলা হয় প্রটোজোইক সময়কাল।
এরাই পৃথিবীর আদিম জানোয়ার। কেন??
সুগঠিত কোষ সহ , সমস্ত দোষ গুণাবলী সহ প্রকৃত জানোয়ার যে তাই।
গ্রীক শব্দ protos প্রটোস মানে আদি এবং
জুন zoon মানে প্রাণী।
প্রোটোজোয়া মানে আদিম প্রাণী।
আদি কিন্তু বর্তমান এক প্রাণীর আলোচনা হোক তবে.........
কেশবতী ব্যেলান্টিডিয়াম কলি কথা
🧫🧫🧫🧫🧫🧫🧫🧫🧫🧫🧫🧫🥩🥩🥩
সর্ববৃহৎ প্রোটোজোয়া যা মানব অন্ত্রে বসবাস সক্ষম নাম Balantidium coli।
এবং সর্বাঙ্গ সিলিয়া নামক কেশ ন্যায় নলাকার অংশে ঢাকা এই সিলিয়েট এক মাত্র জানোয়ার যে মানুষ ও শুকরের জন্যে পরজীবীর ভূমিকা পালন করে।
না ব্যালে নৃত্যের সাথে এদের যোগাযোগ নেই, তবে এমন নাম কেন??
গ্রীক শব্দ balanti ব্যালান্টি মানে থলে, এদের একটি দশার আকৃতি ঠিক থলের মত তাই এই নাম।
নাম বুঝলাম কাম কি??
রোগ সৃষ্টি, balantidiasis ব্যালেনটাডিয়াসিস বলে এক রোগ হয় এদের দ্বারা।
লক্ষণ??
বিরতিহীন উদারময়
কোষ্ঠাঠিন্য
বমি
ক্ষুধামন্দ
ওজন হ্রাস
ইত্যাদি,
কি অবাক কান্ড জলের মত মল আবার
কঠিন নিশ্চল মল দুইই রোগের লক্ষণ??!!?
ফিলিপাইনবাসি দের এই রোগ খুব হয়।
১৯০৪ সালে স্বার্থক ভাবে রোগ ও জীবাণু সম্পর্কে ধারণা মেলে।
ছড়ায় কিভাবে??
এদের একটি দশার নাম সিস্ট দশা। এটি পোষকের মলাশয়ে গঠিত হয়।
আকার ৪০--৬০ μমিটার, গোল এবং দুই বা তিনটি অবরণীতে আবদ্ধ বেশ মজবুত চেহারা।
তো মলের মাধ্যমে তা প্রকৃতিতে উন্মুক্ত হয়।
সিস্ট সংক্রমিত জল বা খাদ্যের মাধ্যমে তা শরীরে প্রবেশ করে।
পাকস্থলীর তীব্র অম্ল ওর কিস্যু করতে পারে না।
অন্ত্রের ক্ষারিয় মাধ্যমে কোন ক্ষতি হয় না এই সিস্টের।
বৃহৎঅন্ত্রে এসে খোলস ছেড়ে ব্যাগ আকৃতির trophozoit ট্রফোজয়েট দশায় রূপান্তরিত হয়।
ব্যস এখানে খাও আর বংশ বৃদ্ধি করো....
অন্য দেহে পারি জমাতে হবে সেই চক্রাকার পথে আবার চলো।
সুতরাং
ভালো করে রান্না করা খাবার এবং
পরিষ্কার জল
এই রোগ থেকে
বাঁচার কৌশল।
বিষয় সাহায্যে
Biology of animals vol I
Ganguli Sinha Adhikary
অন্যান্য সাহায্যে
অন্তর্জাল
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন