জালিয়াতের জটিল জাল

 


🦹🦹🌐🕸️জালিয়াতের জটিল জাল🦹🦹🌐🕸️

                             ঘটনা ১::

ধর্মভীরু মানুষ ছিলেন তিনি, সকাল সকাল 

"আজ সকালে কি আছে কপালে" না দেখে কাজ শুরু করতেন না, সংবাদপত্রে জ্যোতিষ বিভাগ কেটে আলাদা করে রেখে দিতেন, বছর শুরু করতেন বাৎসরিক রাশিফল পুস্তক এবং পঞ্জিকা সংগ্রহ করে। দূরদর্শনে জ্যোতিষ বিভাগ এবং ভগ্যবদলের চাবিকঠির বিজ্ঞাপন মনোযোগ সহকারে দেখতে পছন্দ করতেন।

ভি পি পি, ডাক, রেজিস্ট্রি মারফত দিব্য আংটি, যন্ত্রম ইত্যাদি সংগ্রহ করতে ভালো বাসতেন।

                     ঘটনা ২::



রেজিস্ট্রি ডাক মারফত একটি চিঠি পাওয়া গেল।

ব্রমহানন্দ মহারাজ আশ্রম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৮৩৯০৪, ঠিকানা:: জ্যোতিষ ভবন, এন এইচ ৫৮, ঋষিকেশ রোড, হরিদ্বার উত্তরাখণ্ড, পিন ২৪৯৪০১,



থেকে জানানো হচ্ছে, বছর তিনেক আগে এই সংস্থা থেকে ডাক মারফত দিব্য তাবিজ সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই প্রতিষ্ঠানের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি লটারি তে একটি স্ক্র্যাচ কুপন গ্রাহকের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।



স্ক্র্যাচ কুপন উল্লেখিত পুরস্কার মূল্য গ্রাহকের ব্যাংকের খাতায় জমা করা হবে।

পুরস্কার মূল্য পেতে গেলে সেই বাবদ সরকারি কর

গ্রাহককে আগে দিতে হবে এবং কোনো ভাবেই তা পুরস্কার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য করা হবে না।



স্ক্র্যাচ কুপন ঘষে দেখা গেল৪,৪০,৮০৫ মূল্যের চারচাকা এল ডাব্লিউ সি :- বি এম ২৯ এস এ গাড়ি।



পত্রে উল্লেখিত দুরোভাস নম্বরে কল করে দেখা গেল এক অতি সজ্জন ধার্মিক মানুষের কণ্ঠস্বর, যিনি উক্ত নম্বরে চিঠি ও কুপনের ছবি পাঠাতে বললেন।



ট্রু কলার অ্যাপ্লিকেশনে দেখা গেল মানি ট্র্যাপ কথাটি প্রকাশমান।



                          ছানমিন

 গুগল খোঁজ জলানায় ঠিকানাটি দেওয়া গেল,

ম্যাপে খুঁজে পাওয়া গেল না।

 চিঠি মোটেও হরিদ্বার উত্তরাখণ্ড পিন ২৪৯৪০১ থেকে আসেনি, এসেছে পিন ৭৫২১০০ থেকে যা উড়িষ্যায় অবস্থিত।



 প্রেরকের নাম ছোট স্ট্যাম্প ব্যাবহার করে ছাপানো যাতে বি নন্দ কুমার নাম টি পড়া যাচ্ছে।

 ব্রহ্মানন্দ মহারাজ আশ্রম কথাটি খোঁজ যন্ত্রে চাপালে এই তথ্যটি আসছে

"ব্রহ্মানন্দের নামে নামাঙ্কিত প্রতিষ্ঠানসমূহ তার শিষ্য যোগীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১২ সালে বরানগর, কলকাতায় তার নামে "ব্রহ্মানন্দ বালকশ্রম" নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা এখন বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয় হিসাবে পরিচিত।"

 ব্রহ্মানন্দ মহারাজ মহারাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে এই তথ্যটি আসছে

"স্বামী ব্রহ্মানন্দ (২১ জানুয়ারি, ১৮৬৩ – ১২ এপ্রিল, ১৯২২) ছিলেন প্রসিদ্ধ বাঙালি সন্ন্যাসী ও রামকৃষ্ণ পরমহংসের অন্যতম প্রধান শিষ্য। শ্রীরামকৃষ্ণ তাকে নিজের ভাবসন্তানের মর্যাদা দেন। পরবর্তীকালে তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের প্রথম অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। রাজা মহারাজ নামে পরিচিত এই সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দের মৃত্যুর পর রামকৃষ্ণ মিশনের যাবতীয় উন্নতির প্রধান কাণ্ডারী রূপে গণ্য হন।"

 উক্ত নম্বর থেকে একবার নথী পত্র চাওয়া হলেও পরক্ষণে তা উধাও অর্থাৎ মুছে ফেলা হয়েছে।

                          ❔❓সওয়াল❔❓

✔️ কর বাবদ অর্থ কোথায় কিভাবে জমা করতে হবে?

✔️ অর্থ জমা করার পর অর্থ পাওয়া যাবে তার নিশ্চয়তা কোথায়?

✔️ হরিদ্বারের চিঠি উড়িষ্যা থেকে পাঠানো হয় কেন?




✔️ কে বা কারা এই নম্বরটি ট্রু কলারে এই নামে সঞ্চয় করেছে? কেন?

                🕸️পরিশেষে 🕸️

বিশ্বাসে সে বস্তু মেলায় নি, 

 এই মায়া জালের নাগাল তাকে পায় নি।

কিন্তু এইরকম চিঠি হয়ত পৌঁছেছে বহু মানুষের কাছে, 

প্রশ্ন, তারা কি করবে❔

সমস্ত দলিল দাখিল করা হয়েছে,

চেষ্টা করে দেখবেন নাকি छप्प


र फड़के পুরস্কার পাওয়া যায় কিনা ❓❔

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বকাম সমাচার

নিষিদ্ধ অঙ্গের নিদানতত্ত্ব

ভবিষ্যতের ভয়