Epilepsy episode 1

   


     👁️‍🗨️👁️‍🗨️👁️‍🗨️ অসহনীয় অপস্মার👁️‍🗨️👁️‍🗨️👁️‍🗨️

   ✓√√✓√✓√✓√√√✓√✓√✓√√✓√✓√✓

মৈত্রী এক্সপ্রেসের জন্যে দাড়িয়ে মৃগেন, 

চড়বে না, সে মরবে এই তার ইচ্ছে।

আজও হাসপাতাল থেকে একশ পাওয়ারের ওষুধটা দিলো না। ওটা ছাড়া সুস্থ থাকে না মৃগেন।

ছোট বেলায় বহু সাধু সন্ত পীর ফকির দেখানো হয়েছে, চলেছে নানা তন্ত্র মন্ত্র তাবিজ কবজ মাদুলি

তেল পড়া ধুলো পড়া ইত্যাদি। 

কিন্তু ছোট বেলার সেই রোগ এখনও যায়নি।

হটাৎ করে মনে হয় চোখের সামনে কেউ কালো ঝাপসা পর্দা ঝুলিয়ে দিয়েছে, সারা শরীরে যেন বিদ্যুৎ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এইভাবে শুরু হয় খিঁচুনি,

মুখ আড়ষ্ট হয়ে যায়............



যখন সম্পূর্ন হুশে আসে তখন কখনো দেখে কেউ মুখের সামনে জুতো ধরে রয়েছে, বা পুরনো মোজা,

একদিন একজন শুকনো লঙ্কা পুড়িয়ে নাকের সামনে ধরেছিল, কাশতে কাশতে রক্ত উঠে এসেছিল থুথুর সাথে।

ছোট ছেলেটারও এই রোগ ধরেছে।

তাই ভগ্ন মনোরথে অসহনীয় অপস্মারের অত্যাচার থেকে বাঁচতে আত্ম হননের পথ বাছতে চলেছে সে..



♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣

হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন মৃগেনের মৃগী রয়েছে।

মৃগী কি?

অপস্মার, একপ্রকার মূর্ছারোগ। 



না এতেই শেষ হল না।



গ্রীক শব্দ epilambanein এপিলাম্বানেইন কথার অর্থ “to be seized.” আটক করা, সেই গ্রীক এপিলাম্বানেইন থেকেই এসেছে Epilepsy এপিলেপসি যার অর্থ অপস্মার বা মৃগী ।



এটি কেন্দ্রীয় স্নায়ু তন্ত্রের একগুচ্ছ বিশৃঙ্খলা, যা paroxysmal cerebral dysrhythmia প্যারোক্সিসমাল সেরিব্রাল ডিসরিথমিয়া বৈশিষ্ট্যযুক্ত

এবং ফলস্রুতি অস্বাভাবিক কম্পনের পালা বা অচেতন বা উপদ্রবময় চেতন সঙ্গে সংবেদনশীল সংজ্ঞাবহ স্নায়ুর বিকার বা মনোবিকার।



সোজা কথায় স্নায়ুবিক রোগ যাতে খিঁচুনি কপুনি ইত্যাদি হয়। 



না অত সহজ বোধ হয় নয়।

WHO ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর মতে

সমগ্র পৃথিবীতে ৩০ মিলিয়ন = ৩০০ লক্ষ = ৩ কোটি

মানুষ এই এপিলেপসি যার অর্থ অপস্মার বা মৃগী

রোগে ভুগছে। অর্থাৎ হাজারে প্রায় ৪-- ৬ টি মানুষ।

প্রতি বছর প্রতি লক্ষে ৪০--৭০ টি নতুন রুগীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে ।



আচ্ছা একটি খটমট কথা একটু আগে বলা হল

'paroxysmal cerebral dysrhythmia প্যারোক্সিসমাল সেরিব্রাল ডিসরিথমিয়া' এর অর্থ কি?

paroxysmal প্যারোক্সিসমাল কথাটির অর্থ

আক্রমণ বেগ ।

cerebral সেরিব্রাল মস্তিষ্কসংক্রান্ত।

dysrhythmia ডিসরিথমিয়া

গ্রীক শব্দ dys ডিস অর্থ বাজে,

rhythmia রিথমিয়া অর্থ rhythm রিদম মানে ছন্দ।

পুরোটা দাড়ালো মন্দ ছন্দ বা ছন্দ পতন।



সেরিব্রাল কর্টেক্স cerebral cortex যেটি কিনা স্নায়ু কোষের ছয়টি স্তর দ্বারা গঠিত এবং যাতে ১৪--১৬ বিলিয়ন বা ১৪০,০০০ লক্ষ --- ১৬০,০০০ লক্ষ স্নায়ু বিদ্যমান।



এই সেরিব্রাল কর্টেক্স সৃষ্টি করে মন্দ ছন্দ বা abnormal rhythm যা কারণ হয় এপিলেপসির বা অপস্মার বা মৃগীর।



EEG বা electroencephalogram 



ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাম তে এই অপ ছন্দ ধরা পড়ে।






John Hughlings Jackson ( জন্ম ১৮৩৫- মৃত্যু১৯১১) জন হুগলিঙ্গস জ্যাকসন একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন epileptology তথা মৃগী রোগ বিষয়ক। এখানে তিনি মৃগী রুগীর খিচুনি তথা কাপুনী চলা কালীন অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান করেন।

তিনি প্রকাশ করেন “Study of Convulsion”

যাতে তিনি এই সংক্রান্ত যাবতীয় বৈজ্ঞানিক উপলব্ধি লিপিবদ্ধ করেন।



 বিষয়ে ফিরে আসি।

খিঁচুনি বা seizure সিজার এর প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য।



না জুলিয়াস সিজার থেকে এই সিজার কথাটি আসেনি বিলকুল, প্রাচীন যে গ্রীক শব্দ থেকে এই 

seizure সিজার কথাটি এসেছে তার অর্থ

 “to take hold.” ধরে নিতে হবে বা ধরতে হবে।




❓খিঁচুনি কি কি প্রকারের হয়?




এপিলেপটিক খিঁচুনি দুটি প্রধান বিভাগে বিভক্ত।

✔️আংশিক খিঁচুনি: একটি আংশিক খিঁচুনি ঘটে যখন একজন ব্যক্তির মস্তিষ্কের একটি অংশে মৃগীর কার্যকলাপ বা হঠাৎ অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক আবেগ তৈরি হয়। এই খিঁচুনিগুলি ফোকাল খিঁচুনি নামেও পরিচিত। দুই ধরনের আংশিক খিঁচুনি আছে:

o 🔺সাধারণ আংশিক খিঁচুনি: এই ধরনের খিঁচুনি চলাকালীন রোগী সচেতন থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, রোগী তার আশেপাশের সম্পর্কেও সচেতন, এমনকি যখন খিঁচুনি চলছে।

o 🔺জটিল আংশিক খিঁচুনি: এই খিঁচুনি রোগীর চেতনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। রোগীর সাধারণত খিঁচুনির কথা মনে থাকে না। যদি তারা তা করে তবে তাদের স্মৃতি অস্পষ্ট হবে।



✔️সাধারণীকৃত খিঁচুনি: একটি সাধারণ খিঁচুনি ঘটে যখন মৃগীর কার্যকলাপ বা হঠাৎ অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক আবেগ তৈরি হয় যার সাথে পুরো মস্তিষ্ক জড়িত থাকে। খিঁচুনির প্রক্রিয়া চলাকালীন রোগী চেতনা হারাবেন।



o 🔺টনিক-ক্লোনিক খিঁচুনি (আগে গ্র্যান্ড ম্যাল খিঁচুনি বা গ্র্যান্ড ম্যাল এপিলেপসি নামে পরিচিত): সম্ভবত সাধারণ খিঁচুনির সবচেয়ে পরিচিত প্রকার। এটি চেতনা হ্রাস, শরীরের দৃঢ়তা এবং কম্পন ঘটায়।



o 🔺অনুপস্থিতির খিঁচুনি: আগে বলা হত পেটিট ম্যাল খিঁচুনি বা পেটিট ম্যাল এপিলেপসি,



 এর মধ্যে চেতনার অল্প ব্যবধান জড়িত যেখানে ব্যক্তি মহাকাশে তাকিয়ে আছে বলে মনে হয়। অনুপস্থিতির খিঁচুনি প্রায়ই চিকিৎসার জন্য ভাল সাড়া দেয়।



o 🔺টনিক খিঁচুনি: পেশী শক্ত হয়ে যায় এবং ব্যক্তি পড়ে যেতে পারে।



o🔺 অ্যাটোনিক খিঁচুনি: পেশীর সাড় হারানোর ফলে ব্যক্তি হঠাৎ পড়ে যায়।








o🔻 ক্লোনিক খিঁচুনি: এটি মুখ বা ঘাড় বা বাহুতে ছন্দময়, ঝাঁকুনি দেওয়ার সাথে জড়িত।



সেকেন্ডারি জেনারেলাইজড খিঁচুনি- একটি সেকেন্ডারি জেনারেলাইজড খিঁচুনি ঘটে যখন মৃগীর কার্যকলাপ আংশিক খিঁচুনি হিসাবে শুরু হয়, কিন্তু তারপর পুরো মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে। এই খিঁচুনি বাড়ার সাথে সাথে রোগী চেতনা হারিয়ে ফেলে।




o 🔺স্টেটাস এপিলেপটিকাস: একটি খিঁচুনি যা 5 মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়, বা পর্বগুলির মধ্যে চেতনা ফিরে না পেয়ে 5 মিনিটের মধ্যে 1টির বেশি খিঁচুনি হয়।





মৃগী রোগের কারণ কি?

ক্রমশ.............

চলবে??????

তথ্য সাহায্যে

Human anatomy and physiology

By Ross and Wilson


Pharmacology

By K D Tripathi

ছবি ও অন্যান্য সাহায্যে অন্তর্জাল।



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বকাম সমাচার

শালগ্রাম শিলা সমাচার

নিষিদ্ধ অঙ্গের নিদানতত্ত্ব