Epilepsy Episode 5

 


👁️‍🗨️👁️‍🗨️👁️‍🗨️ অসহনীয়  অপস্মার পঞ্চম ভাগ👁️‍🗨️👁️‍🗨️👁️‍🗨️


অতিবিরক্তিকর দীর্ঘ চারটি পর্বে  আলোচনা করা গেল মৃগীর প্রকারভেদ এবং সম্ভাব্য কারণ গুলি সম্পর্কে।



মৃগীতে একটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা যায় সেটি হল খিঁচুনি বা convulsions।

কথা হল এই convulsions বা খিঁচুনি হয় কিভাবে?

খিঁচুনি এমন একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে দেহ পেশী দ্রুত ও অনবরত সংকুচিত প্রসারিত হয় ফলাফল অনিয়ন্ত্রিত ঝাঁকুনি।



মৃগীর ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত ঝাঁকুনি বা convulsions কে বলা হয় seizures তথা  খিঁচুনি।



মস্তিষ্কের অসঙ্গত বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ যা দেহের কিছু অংশ বা সমগ্র দেহের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে,

ফলাফল seizures তথা  খিঁচুনি।



.

✓উদ্দীপক অ্যামাইনো অ্যাসিড প্রণালীর অতিসক্রিয়তা,



✓ GABAA রিসেপ্টর-মধ্যস্থতায় ঘটা স্নায়ু পরিবহনের অপর্যাপ্ততা, 



এবং

 ✓স্নায়ু পর্দার স্বকীয়তায় ব্যাঘাত 



seizures তথা  খিঁচুনির গুরুত্বপূর্ন কর্যগুলির মধ্যে অন্যতম।

[Hyperactivity of excitatory amino acid systems, insufficient GABAA receptor-mediated neurotransmission, and disturbances in intrinsic properties of neuronal membranes are still regarded as the most important mechanisms of seizures]



আচ্ছা এইবার অন্য প্রসঙ্গে আসা যাক 

🔺🔻🔺🔻🔺🔻🔺🔻🔺🔻🔺🔺🔺🔺🔺

🆘খিঁচুনি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং আশপাশের মানুষের কি কি করণীয়.......


৯১১ বিদেশের জন্যে,

 কলকাতায় চিকিৎসা জনিত ইমারজেন্সি হেল্প লাইন নম্বর 102

চিকিৎসা গত সাহায্যকারী নম্বর 9830079999





খিঁচুনি আক্রান্ত ব্যক্তি দেখলে যা করা উচিত




✓কাউকে খিঁচুনীতে আক্রান্ত হতে দেখলে-অহেতুক আতংকগ্রস্ত না হওয়া। কারণ, অধিকাংশ খিঁচুনীই মৃত্যু ঝুঁকিপূর্ণ নয়।


✓ দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তথা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া ও বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা করা।


✓ রুগীকে জাগিয়ে তোলা, যথা সম্ভব সাবধানে শুইয়ে, আটো সাটো জমা কাপড় থাকলে তা খুলে দেওয়া যেমন টাই বা বেল্ট। যদি নাম জানা থাকে তবে বারংবার নাম ধরে ডাকা।


✓খিঁচুনী শেষ হলে রোগীর নাড়ীর স্পন্দন অনুভব করা যেতে পারে, রোগী ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারছে কি না সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যাহত হয় এমন কোন কিছু মুখে বা নাকে থাকলে তা সরিয়ে দিতে হবে।


✓ তার সঙ্গে সহমর্মিতার সাথে কথা বলা।


✓ ভিড়ে থাকলে স্থান ফাঁকা করা যাতে পর্যাপ্ত প্রাণ বায়ু সে পেতে পারে।


✓ চশমা থাকলে তা খুলে নেওয়া, যে স্থানে রুগী পরে রয়েছে সেই স্থানে কোনো শক্ত বা ধারালো জিনিস থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া, যেমন ইটের টুকরা বা পেরেক ইত্যাদি।


✓বিপদাশংকা রয়েছে এমন জিনিস যেমন আগুন, পানীয়, ধারালো বস্তু, আসবাবপত্র রোগীর নিকট থেকে সরিয়ে আনতে হবে। 


✓রোগী দাঁড়ানো বা চেয়ারে বসা অবস্থায় খিঁচুনীতে আক্রান্ত হলে তাকে আলতো করে ধরে মেঝেতে শুইয়ে দেওয়া অথবা এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে রোগী পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত না পায়।


✓রোগীর মাথার নিচে বালিশ বা নরম কোন কাপড় বা ফোম- এ জাতীয় কিছু দেওয়া প্রয়োজন।- খিঁচুনী স্বাভাবিকভাবে শেষ হতে দেওয়া প্রয়োজন।


✓জ্ঞান ফেরার পর রোগীর কিছু সময়ের জন্য মানসিক বিভ্রম দেখা দেয় বিধায় , এ সময়টুকু রোগীর পাশেই থাকা প্রয়োজন, তাকে আশ্বস্ত করা প্রয়োজন।


✓খিঁচুনী শেষ হলে রোগীকে এক পাশে কাত করে শুইয়ে দিতে হবে।


✓খিঁচুনী যদি ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়, কিংবা রোগীর একবার খিঁচুনীর পর জ্ঞান ফেরার আগেই দ্বিতীয় খিঁচুনী চলে আসে তা হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতাল অথবা অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে হবে।



❌❌❌❌❌❌❌❌❌❌❌❌❌❌


🛑কি করা যাবে না.........




✓ খিঁচুনি চলা কালীন তার কাঁপুনি বন্ধের জবরদস্তি প্রচেষ্টা করা যাবে না।


✓ মুখে জবরদস্তি কিছু ঢুকিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না।


✓ মাউথ টু মাউথ বৃথিং তথা মুখে মুখ লাগিয়ে প্রশ্বাস প্রদান বা Cardiopulmonary resuscitation (CPR)  "কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন" দেওয়া যাবে না যখন রুগীর খিঁচুনি চলছে।


✓ সম্পূর্ন জেগে ওঠার আগে তাকে জল বা খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করা যাবে না।


✓খিঁচুনী-আক্রান্ত অবস্থায় রোগীকে সরানোর চেষ্টা করা যাবে না।


✓রোগীর জিহ্বায় দাঁত দিয়ে কামড় লাগলেও খিঁচুনীরত অবস্থায় তা ছাড়ানোর জন্য জোরাজুরি করা উচিত নয়।

✓ জুতো বা পুরাতন মোজা কিম্বা শুকনো লঙ্কা পুড়িয়ে সেই ধোঁয়া রুগীর নাকের সামনে ধরা ঠিক হবে না।



👁️‍🗨️ রুগীর ক্ষেত্রে কি করণীয়...........


✓মেডিকেল ব্রেসলেট পরিধান করা যেতে পারে, যাতে সহজে চিহ্নিত করা যায় এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

√হাসপাতালের হেল্পলাইন নম্বরগুলি, চিকিৎসকের নম্বর, ঘনিষ্ট আত্মীয়ের নম্বর সব সময় কাছে রাখতে হবে।

ভারত বর্ষের ক্ষেত্রে 112 ইমার্জেন্সী হেল্প লাইন নম্বর।

✓যে সমস্ত রোগীদের বিষণ্নতা বা উদ্বেগ আছে তাদের অবশ্যই চিকিৎসা সহায়তা নিতে হবে।

√রোগীদের অবশ্যই সঠিকভাবে ঘুমাতে হবে এবং একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং ব্যায়ামের রুটিন অনুসরণ করতে হবে।

✓ যথাযথ সময়ে ওষুধ সেবন।

√ যথাযথ সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ ।


এ তো গেল প্রাথমিক চিকিৎসা,

কিন্তু মৃগীর চিকিৎসা ব্যবস্থা কি কি আছে?

জানতে আগ্রহী???

চলবে?????




প্রথম পর্ব


https://golpokothaybiggayan.blogspot.com/2022/07/epilepsy-episode-1.html?m=1


দ্বিতীয় পর্ব


https://golpokothaybiggayan.blogspot.com/2022/07/epilepsy-episode-2.html?m=1


তৃতীয় পর্ব

https://golpokothaybiggayan.blogspot.com/2022/07/epilepsy-episode-3.html?m=1


চতুর্থ পর্ব

https://golpokothaybiggayan.blogspot.com/2022/07/epilepsy-episode-4.html?m=1

তথ্য সাহায্যে

Human anatomy and physiology

By Ross and Wilson


Pharmacology

By K D Tripathi।

অন্যান্য সাহায্যে অন্তর্জাল।




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বকাম সমাচার

নিষিদ্ধ অঙ্গের নিদানতত্ত্ব

ভবিষ্যতের ভয়