গলাধঃকরণ গল্প

 


কথায় আছে 'সাপের ছুঁচো গেলা', 

কথার কথা যদিও আসলে ব্যাপারটা হল দুর্গন্ধময় ছুঁচোকে উদরস্হকরা সাপের পক্ষে অত্যন্ত কষ্টসাধ্য, কিন্তু মুখে পুরবার পরে সাপ তার বাঁকা দাঁতের মধ্য দিয়ে তাকে উগরে ফেলতে পারে না---এ থেকে যেটি বোঝানো হয় ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো ব্যাপারের সঙ্গে যুক্ত থাকা; উভয়সংকটে পড়া।

বাস্তবে সাপ ছুঁচো গিলতে পারলেও 

মোরে ঈল মাছ যদি ভাবে 

পটকা মাছ বা পাফার মাছ খাবে 

তবে ব্যাপারটা কেমন দাড়াবে??


দুইজনের পরিচয়ে আসা যাক।


মোরে ঈল মাছ একটি শিকারী মাছ যা আকারে প্রায় সাপের মতো । উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, একটি শক্তিশালী সর্পিল দেহ তাদেরকে কেবলমাত্র জলের ভিতর স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে দেয় না, পাশাপাশি সরু সংকীর্ণ  শিলার খাঁজে লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। তাদের চেহারা বেশ ভয়ঙ্কর , একটি বিশাল মুখ এবং ছোট চোখ, শরীরের  উপর দিক সামান্য চ্যাপ্টা হয়।

দাঁতগুলি তীক্ষ্ণ এবং লম্বা দীর্ঘ, তাই মাছের মুখ প্রায় কখনও বন্ধ হয় না।

মোরে ঈল moray eel এই নাম পেল কিভাবে?

পর্তুগিজ শব্দ moreia মরিয়া থেকে লাতিন শব্দ mureana মরিনা শব্দটির উদ্ভব যার অর্থ সামুদ্রিক ঈল।

এদের প্রায় ২০০ টি প্রজাতি বিদ্যমান।



উদাহরণ স্বরূপ ধরা যাক 

Anarchias seychellensis, যাদের প্রশান্ত এবং ভারত মহাসাগরের প্রবাল প্রাচীর সংলগ্ন অঞ্চলে পাওয়া যায়।



আরো কিছু বৈশিষ্ট্য বলতে গেলে

মোরে ঈল গুলিতে আঁশ থাকে না এবং আবাসস্থলের উপর নির্ভর করে তাদের রঙ পৃথক হতে পারে। বেশিরভাগ ব্যক্তির নীল এবং হলুদ-বাদামী বর্ণের উপস্থিতিগুলির সাথে বৈচিত্র্যযুক্ত রঙ থাকে তবে একেবারে সাদা মাছও রয়েছে।



তাদের নিজস্ব রঙের অদ্ভুততার কারণে, মোরে ঈল গুলি পুরোপুরি নিজেকে ছদ্মবেশে লুকিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়, অনবদ্যভাবে পরিবেশের সাথে মিশে যায়। মোরে ঈল গুলির ত্বক সমানভাবে শ্লেষ্মার একটি বিশেষ স্তর দিয়ে আচ্ছাদিত, যা পরজীবী রোহিত তথা অ্যান্টিপ্যারাসিটিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত।




এইবার বলি পাফর মাছ বা pufferfish, puffers, balloonfish, blowfish, blowies, bubblefish, globefish, swellfish, toadfish, toadies, toadle, honey toads, sugar toads, এবং sea squab বাংলায় বেলুন মাছ বা পটকা মাছ সম্পর্কে.......

এর দেহ প্রায় গোলাকার, মাথা চওড়া, দেহখণ্ডও চওড়া তবে লেজের ঠিক পূর্বে হঠাৎ সরু হয়ে গেছে।  বেলুন মাছের দেহের দৈর্ঘ্য আট থেকে ১৮ ইঞ্চি। দেহে লম্বা তীক্ষ্ণ কাঁটা রয়েছে। এরা যখন দেহকে ফুলিয়ে রাখে তখন এ কাঁটাগুলো খাড়া হয়ে থাকে।হুমকির মুখে পড়লে অথবা ভয় পেলে বেলুন মাছ এদের দেহের ভেতরে জল ঢুকিয়ে দেহকে বেলুনের মতো ফুলিয়ে ফেলে। এ সময় এদের তীক্ষ্ণ লম্বা কাঁটাগুলো সজারুর কাঁটার মতো খাড়া হয়ে যায়।



এ মাছে রয়েছে ক্ষতিকারক টিটিএক্স (TTX) বা টেট্রোডোটোক্সিন (Tetrodotoxin) বিষ। বিষাক্ত পটকার চামড়া, যকৃত এবং ডিম্বাশয়ে সবচেয়ে বেশি বিষ থাকে। পটকার বিষ পটাশিয়াম সায়ানাইডের চেয়েও বেশি বিষাক্ত। প্রায় ১ হাজার ২০০ গুণ বেশি বিষাক্ত। একটি পটকা মাছের বিষে ৩০ জনের মৃত্যুও হতে পারে।

উদাহরন হিসেবে বলা যায়

Torquigener albomaculosus, বা white-spotted pufferfish সাদা ছোপ যুক্ত বেলুন মাছ, 



এইবার চরম শিকারি মোরে ঈল কি পারবে সমুদ্র সজারু এই বেলুন মাছকে উদরস্থ করতে??


অন্তর্জাল থেকে সংগ্রহ করা ছায়াছবি ও ছবির মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা হল দুই প্রজাতির ঝটিকা দর্শন এবং অবশ্যই পরিণতি....





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বকাম সমাচার

নিষিদ্ধ অঙ্গের নিদানতত্ত্ব

ভবিষ্যতের ভয়