Curiosity of cockroach milk





 🪳🪳🥛🍼আরশোলা আহরিত পয়ঃ🪳🪳🥛🍼

         ∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆

                  

              মাতৃ স্তন্যে ধন্য শৈশব

                     গো দুগ্ধে পালিত

          শ্লেষ্মা-আদীতে ছাগ পয়ঃ

                গলোদ্ধকরণে বাধিত 


তাই বলে  আরশোলার দুধ?

তেলাপোকার তেল বেড় করে লাগায় শুনেছি, 

চীনারা চপ বানিয়ে খায়,

 কিন্তু দুধের ব্যাপারটি তবে কি?

একধরনের আরশোলা যার

 বৈজ্ঞানিক নাম Diploptera punctata



ডিপলোপ্‌টোরা পাঙ্কটেটা তার পাকস্থলীতে দুধের প্রোটিনের ক্রিস্টাল ধারণ করে।


•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••

মিলনরত স্ত্রী এবং পুরুষ ডিপলোপ্‌টোরা পাঙ্কটেটা ।



অন্যান্য পতঙ্গরা যেখানে ডিম প্রদানের মাধ্যমে সন্তান উৎপাদন করে সেখানে এই প্রজাতির আরশোলারা সরাসরি সন্তান জন্মদান করে।



Pacific beetle cockroach প্যাসিফিক বিটল আরশোলা চীন ভারত মায়ানমার সহ বিভিন্ন স্থানে দেখা মেলে। সরাসরি সন্তান জন্মদান করতে পারে এমন কিছু আরশোলাদের মধ্যে অন্যতম এই প্যাসিফিক বিটল আরশোলা।

এমনই সরাসরি সন্তান জন্মদান করতে পারে এমন  আরশোলার উদাহরণ...


🪳Cape Mountain cockroach কেপ মাউন্টেন আরশোলা, giant cockroach দৈত্যাকার আরশোলা Table Mountain cockroach টেবিল মাউন্টেন আরশোলা

বিজ্ঞান সম্মত নাম Aptera fusca,



যাই হোক 


মানব শরীরে অবস্থিত ইউটেরাসের মতোই প্যাসিফিক বিটল আরশোলার শরীরে থাকে ‘ব্রুড স্যাক’, যেখানে ডিমগুলো জমা হয়। জমা হওয়ার ২০ থেকে ২৫ দিন পর ভ্রুণগুলোর মধ্যে দুধের ক্ষরণ হতে থাকে। আর জমা হওয়া ভ্রূণ গুলি তখনই সেই দুধ খেতে শুরু করে।



শোনা যায় এরা নবজাতককে খাওয়ানোর জন্য দুধ-জাতীয় যে তরল নিঃসরণ করে, তার প্রতিটি প্রতিটি কণায় রয়েছে মহিষের দুধের (যা গরুর দুধের চেয়েও বেশি পুষ্টিকর) তিনগুণ বেশি পুষ্টি!



তাই কি?

ভারতের বেঙ্গালুরুর স্টেম সেল বায়োলজি অ্যান্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী সঞ্চারী ব্যানার্জির কথায়, ‘‘এই তরলের মধ্যে যে ‘ক্রিস্টাল' আছে, তাতে আমিষ, শর্করা, স্নেহজাতীয় পদার্থ সবই আছে৷ 



তার চেয়েও বড় কথা, এই আমিষ একটা দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে যায় (টাইম-রিলিজড), যা স্বাভাবিক হজমের চেয়ে বেশি কার্যকর৷’’

কিন্তু এইটুকু আরশোলা কিভাবে তৈরি করবে এত দুধ?

প্যাসিফিক বিটল আরশোলার দুধের মধ্যে যে প্রোটিন আছে, তার ‘জিন সিকোয়েন্স' বের করে তা ল্যাবে উৎপাদন করার চেষ্টায় রয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ আর জানা গেছে, এই জিন সিকোয়েন্স নাকি তাঁরা ইতিমধ্যে বেরও করে ফেলেছেন৷ এবার তাঁদের প্রচেষ্টা সেটায় ঈস্ট (পাঁউরুটি তৈরিতে ব্যবহৃত এক প্রকার ক্ষুদ্র ছত্রাক) ব্যবহার করে বেশি পরিমাণে দুধ উৎপাদন করা (Recombinant DNA technology রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তি ব্যবহার করে) ৷

বলা হয় 'ব্রুড স্যাক’ থেকে সংগ্রহ করা দুধের পুষ্টিতে থাকে ৪৫ শতাংশ প্রোটিন, ২৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ৫৫ শতাংশ অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ১৬-২২ শতাংশ লিপিড। তা ছাড়াও এটিতে ওলিক অ্যাসিড, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড, গ্লিসারল এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে।

প্রোটিন: ৪৫%

শর্করা: ২৫%

স্নেহবস্তু: ১৬%-২২%

অ্যামিনো অ্যাসিড: ৫%

প্রতি ১০০ গ্রামের হিসেবে ক্যালরি মান 


Cockroach milk: ২৩২ kcal/১০০ grams

Human milk: ৬০ kcal/১০০grams

Buffalo milk: ১১০ kcal/১০০ grams

Cow milk: ৬৬ kcal/১০০ grams

(kcl = কিলো ক্যালরি)


পরিশেষে প্রশ্ন

🥛ভবিষ্যতে সুপার ফুড হিসেবে এটি কতটা কার্যকর হবে?

🥛বাণিজ্যিক ভাবে উৎপন্ন আরশোলার দুধে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি কি হতে পারে?

এবং

🥛বাজারে উপলব্ধ হলে একটু চেখে দেখবেন নাকি?



তথ্য ছবি ও চলচ্চিত্র সহযোগিতায়

অন্তর্জাল 





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বকাম সমাচার

নিষিদ্ধ অঙ্গের নিদানতত্ত্ব

ভবিষ্যতের ভয়