distinguishing the Gōdspel‎

    


       🌡️🤰🏿🤱 সুসংবাদ সনাক্তকরণ🌡️🤰🏿🤱

   ≠=≠=≠==≠=≠==≠=≠==≠=≠==≠=≠==≠=≠=

ছোট্ট উষ্মমাপকের মত দেখতে, তাতে ঠিক দুফোঁটা শিবাম্বু আর অপেক্ষা দুই মিনিট ঠিক যা দীর্ঘ দুই বছরের মত লম্বা। তারপর ছোট্ট সাদা অংশে গাঢ় লাল বর্ণের দুটি পটির আভাস।

হ্যাঁ এবার মা হতে চলেছে সে...........................


[উষ্মমাপক অর্থাৎ thermometer আর 

শিবাম্বু বা urine]


প্রথম বার মা হওয়ার অনুভূতি উৎকণ্ঠা মেশানো ভয় জড়ানো আনন্দের যা একান্ত মায়েদের নিজেস্ব, কাব্যে বোঝানো কষ্টসাধ্য।


কিন্তু কথা হল গর্ভে আগমন হয়েছে ভবিষ্যতের, শরীরে বেড়ে চলেছে শরীর, বোঝা যাবে কি উপায়ে?

এখন নয় যন্ত্র আছে, কিন্তু আগে?

শত শতাব্দী ধরে নারী নিজের গর্ভে গর্বের সাথে বয়ে চলেছে সভ্যতার আগন্তুকদের, তারা কিভাবে বুঝতে পারতো যে তারা ভোরের ভ্রূণ বিকশিত করবে অচিরেই?

ΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩΩ

যেই ভ্রূণের আগমন ঘটে, নারী দেহে কিছু জৈবরাসায়নিক পরিবর্তন হয় বটে যার লক্ষণ প্রকাশ পায় নারী দেহ মনে, কিন্তু সুসংবাদ সনাক্তকরণ হবে কি উপায়ে?

                 🇪🇬 শিবাম্বু অঙ্কুরোদগম🇪🇬


 প্রাচীন ইজিপশিয়ান মহিলারা বার্লি বা গমের বীজের উপর মুত্র বিসর্জন করে দেখত। যদি গম বা বার্লি দ্রুত অঙ্কুরিত হত তবে ধরে নেওয়া হত যে সে গর্ভবতী হয়ে উঠেছে।

গম বা বার্লির আলাদা থলেতেও হিসু করে পরীক্ষা করা হতো, ফলাফল ছিল নাকি সময়ের অপেক্ষা! 

এটি বিজ্ঞান বা ছদ্মবিজ্ঞান অবিশ্যি জানা নেই,

কারণ অন্যান্য গম বা বার্লির বীজের উপর শুধু অম্বু বিসর্জন করে অঙ্কুরোদগম তুলনামূলকভাবে মিলিয়ে দেখা হত কিনা জানা যায় না,

যাকে অধুনা বিজ্ঞানে test এবং control বলা হয়।



তবে হ্যাঁ, নারী দেহে কিছু জৈবরাসায়নিক পরিবর্তন যার উপস্থিতি কিন্তু মুত্রেও থাকে, এটিই কি বীজে দ্রুত অঙ্কুরোদগম ত্বরান্বিত করে?


{যব (ইংরেজি: Barley; বৈজ্ঞানিক নাম: Hordeum vulgare) (বাংলায় পায়রা নামেও পরিচিত) }


                  🧅🧅পেয়াঁজ প্রবেশ🧅🧅

প্রাচীন গ্রিসের মহিলারা পরীক্ষায় পিছপা ছিলেন না মোটেই তাই তারা করতেন পেয়াঁজ প্রবেশ পরীক্ষা।

 যোনিতে পেয়াঁজ প্রবেশ করিয়ে রাতভর রেখে দিয়ে

সকালে যদি সকালে নিশ্বাসে আসে পেয়াঁজের আঘ্রাণ তবে মহিলা গর্ভলাভের গর্ব থেকে বঞ্চিত মানে গর্ভবতী নন মোটেই।

কি যুক্তিতে?

আরে গর্ভাশয় খালি তো তাই পেঁয়াজ ফাঁকা রাস্তা পেয়ে................... মানে বাঁধা দেওয়ার যেহেতু কিছু নেই তাই নীচ থেকে ওপর ওঠায় কোন বাঁধা নেই।



            🍯🍯 'মধুরেণ সমাপয়েৎ'🍯🍯

ফলবতী অবস্থা আশ্বাস দেওয়ার অপর এক গ্রীক পদ্ধতি মধু জল মিশ্রণ সেবন।

রাতে জল মধু মিশ্রণ খেয়ে শোও এবং মাঝরাতে যদি পেট আইঢাই করে কিংবা পেট ব্যাথা শুরু হয় তবে এটি গর্ভধারণের সম্ভাবনা!!!!



                      🇪🇺 প্রস্রাব প্রবক্তা 🇪🇺

মধ্যযুগের ইউরোপে দেখা মিলত এই Piss prophet বা প্রস্রাব প্রবক্তাদের।

না সেইসময় বুক পরীক্ষা নল (stethoscope),

 রক্ত পরীক্ষার সরঞ্জাম, রন্টজেন রশ্মি (x-ray) কল্পনার বাইরে। কিন্তু সেইসময় রোগ নির্ধারণ হত এক পাত্তর মূত্র দিয়ে!

২০ টির মত মূত্রের বর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছিল যার ব্যাবহার পরবর্তী কালে ছদ্ম চিকিৎসকরা [unlicensed medical practitioners/ quacks] এক একটি রোগ লক্ষ্মণের বহিঃ প্রকাশ বলে চিহ্নিত করা শুরু করেছিল।

রঙের বর্ণনা নিন্মরূপ ↓↓ 

“white as wellwater” 

সাদা → ভালো জল

 “ruddy as pure intense gold” 

লালচে→ খাঁটি বিশুদ্ধ সোনা

 “black as very dark horn.” 

কালো →মিসকালো শিং।



{Middle Ages or medieval period lasted approximately from the late 5th to the late 15th centuries}

Piss prophet বা প্রস্রাব প্রবক্তাদের [ছদ্মচিকিৎসক?] বিভিন্ন কর্মকৌশল ছিল প্রস্রাব থেকে ভবিষ্যৎ ব্যাক্ষা করার।

কেউ রং দেখে, কেউ চেখে (taste) আবার কেউ বুদবুদের আকার অনুসন্ধান করে

 [“read the bubbles” ] বলত ভবিষ্যতের ভবিষ্যদ্বাণী!

কি জানি মিলত কিনা সেইসব ভবিষ্যদ্বাণী!?!

     


   

           🇩🇪 সূচিছিদ্র মূত্র প্রবেশ 🇩🇪

জার্মানিতে দুই ধাত্রীবিদ্ গবেষক যথাক্রমে

Aschheim Selmar (1878–1965),

সেলমার আসসেইম 

 Zondek Bernhard (1891–1966),

বের্নহার্ড জনডেক 

১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে একটি পদ্ধতি উদ্ভব করলেন যাতে দেখা গেল

যৌণ-অপরিপক্ক স্ত্রী ইঁদুরে যদি গর্ভবতী মানবীর পেশাব সূচিপ্রয়োগ করা হয় তবে স্ত্রী ইঁদুরের ডিম্বাশয় গুলি পরিপক্ব হয় এবং ডিম্বাণু উৎপাদনে সক্ষম হয়।



{যৌণ-অপরিপক্ক Sexually immature,

সূচিপ্রয়োগ করা বা ইনজেকশন করা

make injection, 

ডিম্বাশয় ovary, ডিম্বাণু ovum, egg cell}



    🐇🐰শশকে সুসংবাদ সনাক্তকরণ🐇🐰

১৯২০ সালের শেষেরদিক থেকেই গর্ভবতী নারীর 

প্রস্রাব অন্যান্য ইতর স্ত্রী প্রাণীর দেহে প্রয়োগ করে দেখা শুরু হয়েছিল।

১৯৪৯ সালে প্রথম প্রমাণিত শশ নিরীক্ষা বা

 "rabbit test" টি করা হয়।



যদিও পদ্ধতিগত ভাবে এটি নিষ্ঠুর, 

গর্ভবতী নারীর প্রস্রাব স্ত্রী খরগোশের শরীরে প্রবেশ করিয়ে তাকে মেরে তার ডিম্বাশয় গুলি পরীক্ষা করে দেখা হতো।

বলা হয় Dr Maurice Harold Friedman

 ডাক্তার মরিস হারল্ড ফ্রাইডম্যান এই পদ্ধতির উদ্ভাবক এবং তার দাবী ছিল

" হয় এই পরীক্ষা নয় ন মাসের অপেক্ষা"

 


    🐸🐸 দাদুরী দেহে অন্তঃসত্ত্বা যাচাই🐸🐸


Lancelot Thomas Hogben ল্যান্সলট টমাস হগবেন (জন্ম: 9 December 1895, Portsmouth, United Kingdom

মৃত্যু: 22 August 1975, Wrexham, United Kingdom) সাহেব ছিলেন পরীক্ষামূলক প্রানীতত্ববিদ (experimental zoologist)।



তিনি African clawed frog বা আফ্রিকার নখর যুক্ত ব্যাঙ যার বিজ্ঞান সম্মত নাম Xenopus laevis কে মডেল বা প্রতিমান জীব হিসেবে উপস্থাপিত করেন।



 মডেল বা প্রতিমান জীব (ইংরেজি: model organism) হল মানুষ নয় এমন কোনো প্রজাতি, যা নির্দিষ্ট জৈবিক ঘটনাকে বোঝার জন্য ব্যাপকভাবে অধ্যয়ণ করা হয় এই আশায় যে, মডেল জীব থেকে পাওয়া আবিষ্কারগুলো অন্যান্য জীবের কার্যক্রমের বিষয়েও আলোকপাত করবে।

এই দাদুরীর পশ্চাৎ পদে মানবীর মূত্র সূচিপ্রয়োগ করলে,মানবী যদি অন্তঃসত্ত্বা হয় তবে দাদুরী ডিম্বাণু উৎপাদন শুরু করে।১৯৪০ থেকে ১৯৬০ এর মধ্যে প্রচুর স্ত্রী ব্যাঙ কে মানবী মূত্রতে প্রবিষ্ট করান (infused) হয়।



৫ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে মানবী মূত্রতে প্রবিষ্ট স্ত্রী ব্যাঙ সাদা কালো ডিম্বাণুর গুচ্ছ নিঃসরণ শুরু করে।




১৯৬০ সনে বিজ্ঞানীরা রাসায়নিক পরীক্ষার মাধ্যমে মানবী মূত্রে সেই তত্বের সাথে বিক্রিয়ায় সমর্থ হল যা 

সুসংবাদ সনাক্তকরণ সহজেই করে কোনো প্রাণীর সাহায্য ছাড়াই।



হ্যাঁ সেই জৈব রসায়ন তথা হরমোন হল

 HCG বা সম্পূর্ন কথায় 

human chorionic gonadotropin হিউম্যান-কোরিওনিক-গোনাডোট্রোপিন।




তবে সেই গল্প পরে হবে................


তথ্য সাহায্যে

Human anatomy and physiology

By Ross and Wilson

Biochemistry and Clinical Pathology. 

By M. R. Chaudhari, 

অন্যান্য নোটস সমুহ

ছবি ও অন্যান্য সাহায্যে

অন্তর্জাল।



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বকাম সমাচার

নিষিদ্ধ অঙ্গের নিদানতত্ত্ব

শালগ্রাম শিলা সমাচার