সৎকার সমাচার



 ☯️☸️✡️সৎকার সমাচার✝️🕉️☪️

§§§§§§§§§§§§§§§§§§§§§§§§§§§§§


প্রাণের প্রিয়জন, 

চির বিদায় দিতে চায়না মন।

তাই নতুন নতুন পন্থার তলাশ শুরু হয় যাতে তার নশ্বর দেহ রাখা যায় অবিনশ্বর, অথবা দেহাবশেষ দিয়ে তৈরি হয় স্মারক, 

কবির ভাষায়.....

                "তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম

            নিবিড় নিভৃত পূর্ণিমানিশীথিনী-সম॥"


পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে নানা প্রকার সৎকার সংস্কার তুলে ধরা হয়েছিল প্রথম পর্বে


https://golpokothaybiggayan.blogspot.com/2023/01/blog-post_17.html


আজ এই পর্বে সৎকার সংক্রান্ত আরো কিছু সমাচার শোনা যাক তবে......


    💀👲নিষ্প্রাণ প্রানবন্ত একই সাথে💀👲


২0১৫ সালের জুন মাসে পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশজুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল রবিনসন স্ট্রিট কঙ্কালকাণ্ড।রবিনসন স্ট্রিটের একটি বাড়ির শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৭৭ বছরের এক ব্যক্তির অগ্নিদগ্ধ দেহ। সেই বাড়িতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, মৃত ব্যক্তির ছেলে তাঁর দিদির কঙ্কালের সঙ্গে মাসের পর মাস ওই বাড়িতে রয়েছেন। দিদির কঙ্কালকে খেতেও দিতেন ভাই— পার্থ দে।



শিহরণ জাগানো এই ঘটনা যদি নিত্য নৈমিত্তিক জীবনের অংশ হয়??



ইন্দোনেশিয়ার টোরাজা উপজাতির 

(Toraja Tribes) মানুষ সভ্যতার এই উৎকর্ষের সময়ও বাস করে চলেছেন মৃত মানুষের সঙ্গে। ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপের টোরাজা উপজাতিরা মৃতদেহকে সৎকার না করে বাড়িতেই রেখে দেয় বছরের পর বছর। মৃতদেহ রাখার জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা হয়। সেই ঘরে থাকে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, বিছানা, জামা-কাপড়।প্রতিদিন খাবারও দেওয়া হয়। যত দিন না তার শ্রাদ্ধ শান্তির জন্য জমকালো অনুষ্ঠান করার মতো অর্থ জোগাড় করা যায়, তত দিনই চলে মৃতের সঙ্গে প্রতিদিনের এই অদ্ভুত জীবনযাপন। বিদায়ের দিন মহাআয়োজন করা হয়।বিদায় দেয়ার সময় হলে তারা দেহটিকে অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণভাবে সজ্জিত করেন। সজ্জিত করার পর কফিনে বা বিশেষ ধরণের বাহনে চড়িয়ে তারা একটি বিশেষ স্থানে নিয়ে যান। বলি দেওয়া হয় মহিষ। তারা বিশ্বাস করে মহিষ মৃত ব্যক্তির আত্মা স্বর্গে পৌঁছে দেবে। 



এখানেই শেষ নয়।

প্রতিবছর মানেনে(Ma’nene) নামক এক উৎসবে মৃতদেহগুলোকে কফিন থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।বছরের নির্দিষ্ট দিনে এরকম বিদায়গামী দেহগুলো একত্রে করে প্রদর্শণের ব্যবস্থা করেন, যাতে সবাই সবাই শেষ দেখা দেখে নিতে পারে এবং প্রিয়জনের সাথে আনন্দঘন মহুর্ত কাটাতে পারেন। মৃতদেহকে নতুন জামা-কাপড় পরিয়ে সাজিয়ে ঘোরানো হয় পুরো গ্রাম। 



শিশু থেকে শুরু করে অনেক বছরের পুরনো মৃতদেহগুলোও বাদ যায় না।




      💀👘পুরানো মানুষ নতুন পোশাক👘💀



মাদাগাস্কারের মেরিনা উপজাতিদের[Merina people (also known as the Imerina, Antimerina, or Hova)] সৎকার সংক্রান্ত রীতি অনুযায়ী মাটির নিচে তৈরি কবর কক্ষে প্রিয়জনের মরদেহ রাখা হয় যেখানে যুগের পর যুগ ধরে পূর্বপুরুষ সমাহিত হয়ে আসছে। মরদেহ রেশম বস্ত্রে মুড়িয়ে সেই কক্ষে রেখে দেওয়া হয়।



মাদাগাস্কারের মেরিনা উপজাতিদের একটি উৎসব ফামাদিহানা (Famadihana)। যা তারা পূর্বপুরুষদের আত্মাকে শান্তি দেয়ার জন্য করে থাকে প্রতি ৭ বছর অন্তর।

ফামাদিহানা হচ্ছে একটি উৎসব যেখানে পরিবারের পূর্বপুরুষদের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা দেখানো হয়। একই গোষ্ঠী বা বংশের অন্তর্গত পরিবারগুলো অনুষ্ঠান উপলক্ষে একত্রিত হয় ও উৎসবে মেতে ওঠে। এদিন যখন কবর থেকে মৃতদের উঠিয়ে কাপড় পরানো হয় তখন পরিবারের ক্ষুদে সদস্যদেরকেও তার পূর্বপুরুষ সম্পর্কে জানানো হয়।

মালাগাসি(Malagasy) মানুষের মতে, মানুষ আসলে মাটির তৈরি নয়। মানুষের উৎপত্তি তার পূর্ব পুরুষদের থেকে। যে কারণে বংশধররা তাদের পূর্বপুরুষদের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করে। তারা আরো বিশ্বাস করে, মৃতদের দেহ পুরোপুরি পচে যাবার আগ পর্যন্ত তারা এই পৃথিবী ত্যাগ করে না ও ততদিন পর্যন্ত তারা জীবিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম। তাই মৃতদেহগুলো পুরোপুরি মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এই ফামাদিহানা উৎসবের মাধ্যমে তাদের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা দেখানো হয়।

অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে, ফামাদিহানা কিন্তু খুব প্রাচীন রীতি নয়। কারণ ইতিহাস বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১৭শ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত মাদাগাস্কারে ফামাদিহানার অস্তিত্বই ছিল না। তবে বর্তমান সময়ে ফামাদিহানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা বেশ ব্যয়বহুল। কারণ এই অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের জন্য দামি খাবার ও সবার জন্য নতুন পোশাক কিনতে হয়। 

অনেক গরীব মালাগাছিয়ানদেরই নিজেদের ব্যক্তিগত সমাধিস্থল নেই। তাই তাদেরকে এটা তৈরি করতে অনেক বছর ধরে অর্থ সঞ্চয় করতে হয়। এরপরই তারা ফামাদিহানা আয়োজন করতে পারে। ঐতিহ্যগতভাবে তাদের বিশ্বাস, যেসব পরিবার ফামাদিহানা অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারে না, তারা পূর্বপুরুষদের যথাযথভাবে সম্মান করে না।



ফামাদিহানা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে। স্থানীয় সরকারি প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও এতে অংশ নেন। এছাড়া অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে পাশ দিয়ে কোনো পথচারী গেলে তাকেও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে সূর্য ডুবে যাওয়ার আগে মৃতদেহগুলোকে আবারো কবরে রাখতে হয়। কারণ তারা বিশ্বাস করে, রাতে সেই আত্মা খারাপ আত্মা এবং নেতিবাচক শক্তিতে পরিণত হতে পারে। তাছাড়াও সূর্য তাদের জীবনের একটি বড় উৎস।


        🌌☄️💀মহাকাশ সমাধি🌌☄️💀

প্রথম পর্বে তিব্বতের আকাশ সমাধি বা Sky burial সমন্ধে জেনেছিলাম, কিন্তু মহাকাশ সমাধি?

Space Burial বা মহাকাশ সমাধির ক্ষেত্রে অবশ্য সরাসরি মৃতদেহকে মহাশূন্যে পাঠানো হয় না, বরং পাঠানো হয় তার দেহভস্মকে। 

প্রথম মহাকাশ সমাধির ঘটনাটি ঘটানো হয় ১৯৯২ সালে, সেই সময় NASA এর Space Shuttle Columbia (mission STS-52) মহাকাশে নিয়ে গিয়েছিল Gene Roddenberry সাহেবের চিতাভস্মের কিছু অংশ যা আবার পৃথিবীতেই ফিরিয়ে আনা হয়।

১৯৯৭ সালে মানব ইতিহাসে প্রথম এমন ঘটনাটি ঘটেছিলো(The first private space burial, Celestis' Earthview 01: The Founders Flight, was launched on April 21, 1997.)। সেইবার ২৪ জন মানুষের ছাইয়ের শেষ গন্তব্য হয়েছিলো মহাশূন্যে।

কেউ যদি আবার সাময়িকভাবে নিজের অবশেষকে মহাশূন্যে ঘুরিয়ে আবার পৃথিবীতে ফেরত আনাতে চান, তবে সেই ব্যবস্থাও রয়েছে। পদ্ধতিটি বেশ ব্যয়বহুল বলে (প্রতি পাউন্ড ছাইয়ের জন্য ১০,০০০ ইউএস ডলার) শুধুমাত্র ছাইয়ের কিছু অংশ পাঠানোর উপায় রয়েছে।



🦪🦪দক্ষিণ কোরিয়ার পুঁতি-রীতি🦪🦪


পুরো বিশ্বজুড়ে থাকা অসংখ্য সমাধি রীতি বা নিয়মের একটা হলো দাহ পদ্ধতি। যার মানে হলো শ্মশান বা অন্য কোথাও (বৈদ্যুতিক চুল্লী বা অন্য কোন চুল্লী) গিয়ে শব পোড়ানো। কিন্তু এই রীতিটাকেই রীতিমতো আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ানরা।



মৃতদেহ পোড়ানো ছাইকে অল্প পরিমাণে গলিত কাঁচের সাথে মিশিয়ে তৈরি করা হয় জপমালার গুটি বা পুঁতিতে (Cremation Beads )। রঙবেরঙের হয় সেই পুঁতিগুলো। গোলাপি, কালো, সবুজ, ফিরোজা। তারপর কাচের জারে ঢুকিয়ে রাখে সেগুলো। বা রেখে দেয় খোলা পাত্রে। তারপর বাড়ির পছন্দমতো কোন জায়গায় সাজিয়ে রাখা।

তবে এই প্রথা জাপান ইউরোপ এবং আমেরিকাতেও ছড়িয়ে পড়েছে।




       ♍♌দেহ চিত্রে চিতাভস্ম♍♌

ট্যাটু করতে ইচ্ছে করে! ভালবাসেন ট্যাটু দিয়ে শরীর সাজাতে! বলিউড থেকে টলিউড বা একেবারে আম বাঙালির ঘরেও ঢুকে পড়েছে ‘ট্যাটু ফ্যাশন’। 



তবে এটা মোটেই হালফিলের ফ্যাশন নয়! ট্যাটুর ইতিহাস কিন্তু বেশ প্রাচীন।তবে কিছু কিছু মানুষ এই ট্যাটুর সাথেও মৃত প্রিয়জনদের এক বিশেষ উপায়ে সংযুক্ত করে নিয়েছেন। এজন্য আগের মতোই তারা বেছে নেন চলে যাওয়া মানুষটির দেহভস্ম।(commemorative tattoos/Cremation tattoos)

এই উল্কি আঁকার ক্ষেত্রে চিতাভস্ম প্রথমে ভালো করে ছেঁকে সেখান থেকে বড় অংশগুলো ফেলে দেয়া হয়। এরপর সেই ছাইয়ের মিহি দানাগুলোকে আরো উত্তপ্ত করা হয় জীবাণুমুক্তকরণের উদ্দেশ্যে। এরপর সেখান থেকে সামান্য কিছু ছাই নিয়ে মেশানো হয় ট্যাটু আঁকতে ব্যবহৃত কালির সাথে। এভাবেই সৎকার সম্পন্ন প্রিয়জনকে শরীরে কোনো নকশার মাধ্যমে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারেন তার প্রিয়জন বা পরিজন একজন ট্যাটুধারী।




🔎🔮🔍চিতাভস্ম শিল্প সৃষ্টি🔎🔮🔍


মৃতব্যক্তির দেহভস্মের সাথে বিভিন্ন রঙ মিশিয়ে তাকে হাতে আঁকা বিভিন্ন ছবির মধ্য দিয়ে সংরক্ষণের কথা শুনে থাকবেন অনেকেই। একই সাথে কাঁচের নানা শিল্পকর্ম ও বিভিন্ন অলঙ্কারেও একই কৌশল কাজে লাগানো হয়ে থাকে।

এক টেবিল চামচ দেহভস্ম গলিত কাঁচের সাথে মিশিয়ে তৈরি হয় cremation ashes paperweight

বা ভস্মধার কাগজ চাপা।

       


         💎💍💠तू ही रे তুমি হীরে💎💍💠

প্রিয়জনের স্মৃতি হিসেবে তার দেহাবশেষ দিয়ে হীরা তৈরি করার ভাবনা নতুনত্বের দাবী রাখে।

ইটার্নাভা নামে প্রতিষ্ঠানটি মৃত মানুষ বা পোষা প্রাণীর ছাই কিংবা চুল থেকে হীরা তৈরি করে!



এই অদ্ভুত ভাবনার পেছনে রয়েছে ইটার্নাভার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান প্রধান নির্বাহী অ্যাডেলা আর্চারের ব্যক্তিগত জীবনের একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা।

২০১৭ সালের আগেই আর্চার গবেষণাগারে তৈরি হীরা বিক্রির স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান তৈরির কথা ভাবছিলেন। সেই সময়ই মাত্র ৪৭ বছর বয়সে ক্যান্সারের কারণে মারা যান আর্চারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহকর্মী ট্রেসি কাফম্যান। ট্রেসির কাছের বন্ধু আর্চার তার দেহাবশেষ পান।

প্রিয় বন্ধুর দেহাবশেষ সংরক্ষণের জন্য ভালো একটা উপায় খুঁজছিলেন আর্চার। এ সময় এক বিজ্ঞানীর সাথে এ ব্যাপারে আলাপ হয় আর্চারের। সেই বিজ্ঞানী দেহাবশেষের ছাইতে থাকা কার্বন দিয়ে একটি হীরা তৈরি করা যেতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছিলেন। টেসির ছাই থেকে তৈরি হীরাটিই ছিল ইটার্নাভার তৈরি প্রথম হীরা। আর আর্চারই ছিলেন নিজের তৈরি স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠানের প্রথম ক্রেতা।

সুইজারল্যান্ডের কোম্পানিটি মৃতের দেহাবশেষ থেকে ইতিমধ্যেই বানিয়ে ফেলেছে ০.২৫ থেকে ১.০ ক্যারেটের হীরে| কোম্পানির পক্ষ থেকে এই হীরের নামকরণ করা হয়েছে, 'এ জুয়েল টু রিমেম্বার'। প্রিয়জনের মৃত্যুর পর তার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এর থেকে ভালো পন্থা আর কিছু হতে পারেনা বলেই জানিয়েছে সেই কোম্পানি। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হীরের সবচেয়ে ভালো জিনিস হলো, এটি একজন ব্যক্তির সম্পূর্ণ বডি কম্পোজিশন দিয়ে তৈরী। জানা গেছে, খনি থেকে প্রাপ্ত হীরের সাথে বেশ পার্থক্য রয়েছে এই হীরের। এই হীরে সবক্ষেত্রে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার নাও হতে পারে।শরীরের নানা রাসায়নিকের উপর নির্ভর করেই এই হীরের রং পর্যন্ত তৈরী হয়। কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হীরে তৈরির সময় মোটেই বোঝা যায় না শেষপর্ন্ত কোন রঙের হীরে তৈরী হতে চলেছে।হতে পারে আপনার প্রিয়জনের দেহের ছাই থেকে তৈরী হীরের রং হলো গোলাপি কিংবা কালো।



২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি দারুণ ব্যবসা সফল। ২০২০ সালে তারা দ্বিগুণেরও বেশি লাভ করেছে। আর এই দারুণ ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ১ কোটি ডলার অনুদান পেতে চলেছে।


💀🧊❄️মাটির সাথে মিশে ধন্য হতে চাই💀🧊❄️


প্রমেশন (Promession) নামক এই পদ্ধতিটির উদ্ভাবন করেছিলেন সুইডেনের জীববিজ্ঞানী সুসান উইঘ-মাসাক। 


প্রমেশনে প্রথমে মৃতদেহকে শীতল( -18 ° C)করে নেয়া হয়(Promession is an idea of how to dispose human remains by way of freeze drying.)। এরপর সেই হিমায়িত আড়ষ্ঠ দেহটিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে সেই চূর্ণ থেকে জল অপসারণ করা হয়। পরিশেষে প্রাপ্ত শুকনো মৃতদেহ চূর্ণকে ভূমির উপরিভাগে ছড়িয়ে দেয়া হয় যা বছরখানেকের মাঝে জৈব সারে পরিণত হয়।



তবে সর্বত্র এটি গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।

সুইডেন, ইউনাইটেড কিংডম এবং সাউথ কোরিয়াতে এই প্রথা বৈধ।

(the promession process is only legal in Sweden, the UK, and South Korea.)


🧪⚗️💀রিসোমেশন, না-অগ্নী সৎকার 🧪⚗️💀



এটিকে বলাহয় প্রায় প্রকৃতি বান্ধব সৎকার পন্থা।

এটি আরো অন্যান্য নামে খ্যাত যথা Alkaline hydrolysis / biocremation/ resomation/ flameless cremation / aquamation/

 water cremation।



একটি আবদ্ধ পাত্রে জল এবং পটাসিয়াম হাইড্রোক্সাইড (KOH) বা কষ্টিক পটাশ মিশ্রণে রাখা মরদেহ 160 °C তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করা হয় কিন্তু নির্দিষ্ট চাপের মধ্যে, যাতে দ্রবণটি না ফুটতে থাকে।

এইভাবে থাকলে দেহ ৬ ঘণ্টার মধ্যে পরিণত হয়

সবুজাভ তরল এবং হাড়ের গুঁড়োতে।

যা মাটিতে মিশে মাটিকে করে উর্বর।

অস্ট্রেলিয়াতে এই প্রথা চালু আছে।




সুতরাং সামাজিক সংস্কার সৎকারের অর্থ শুধু দেহ নষ্ট করা নয় বরং অনেকক্ষেত্রে তা কাছের জিনিস বা কাজের জিনিষ তথা স্মরণিকা তে পরিণত হওয়া।

প্রভাবশালী ব্যক্তির ক্ষেত্রে তথা ধর্মীয় কারণে অনেকের দেহাংশ দেশ বা পৃথিবীর নানা অংশে রাখা হয়।

✓হিন্দু পূরণে ৫১ পিঠের উল্লেখ রয়েছে যেখানে সতীর বিভিন্ন দেহাংশ রয়েছে বলে মান্যতা রয়েছে হিন্দু ধর্মাবম্বীদের মধ্যে।

✓হযরতবাল মসজিদ, কাশ্মীরের অন্যতম ধর্মীয় তীর্থস্থান, যা শ্রীনগরে অবস্থিত। 



উর্দু শব্দ অর্থ ‘সম্মানিত’ বা হযরত (Ḥaḍrah, আরবি: حضرة‎‎) হল সম্মানসূচক আরবি উপাধি। এর শাব্দিক অর্থ "উপস্থিত"

এবং হিন্দিতে बाल অর্থ চুল।

বলা হয় এখানে হজরত মুহাম্মদের চুল সংরক্ষণ করা রয়েছে।



✓ গৌতম বুদ্ধের মৃত্যুর পর তার দেহ দাহ করে চিতাভস্ম তার জন্ম কুল শাক্য জাতির হাতে সমর্পণের কথা ছিল। কিন্তু সেই সময় গাঙ্গেয় উপত্যকার ৭ রাজা কুশিনগর আক্রমণ করে।এই কুশিনগরেই গৌতম বুদ্ধের মৃত্যুর পর তার দেহ দাহ করা হয়েছিল। রাজারা সকলে চাইল চিতাভস্মের ভাগ। অবশেষে দ্রৌণ ঋষির মধ্যস্থতায় ৭ আক্রমণকারি দলপতি এবং মগধের রাজা অজাতশত্রুকে (৪৯৩-৪৬১ খ্রিস্টপূর্ব) প্রদান করেন। সেই সিন্দুকগুলো নিয়ে স্ব স্ব রাজ্যে ফিরে গিয়ে পবিত্র সৌধে সেগুলোকে সমাধিস্থ করেন। এই সৌধের থেকেই স্তুপ জিনিসটির উৎপত্তি।

 স্তপের ভিতর মূলত রাখা থাকে গৌতম বুদ্ধের দেহাংশ; কোথাও হাড়ের টুকরো, কোথাও দাঁত, কোথাও চুল বা কোথাও ভস্ম।



ভারতীয় জাদুঘরে রাখা আছে অসংখ্য প্রাচীন যুগের পাত্র। মিউজিয়ামে থাকা এসব পাত্রগুলি আপাত দৃষ্টিতে একই রকম, তবে বৌদ্ধযুগের পাত্রগুলির গায়ে ব্রাহ্মী লিপি খোদাই করা থাকে। বৌদ্ধবিহার থেকে প্রাপ্ত এমনই একটি পাত্র মিউজিয়ামে রাখা আছে যার ইতিহাস একটু আলাদা।



✓ মহাত্মা গান্ধীর চিতাভস্ম রয়েছে ভারতের বিভিন্ন স্থানে।



তবে দেহযন্ত্র নষ্ট করে তার স্মৃতি রোমন্থন ভালো নাকি অঙ্গ দানের মাধ্যমে তাকে নতুন জীবন দেওয়া ভালো এ বিচারের ভার রইল পাঠকের উপর।


তথ্য সাহায্যে অন্তর্জাল

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বকাম সমাচার

নিষিদ্ধ অঙ্গের নিদানতত্ত্ব

ভবিষ্যতের ভয়