হামবড় হা মুখ

 


                👄👄👄আহা হাঁ👄👄👄
(O)(O)(O)(O)(O)(O)(O)(O)(O)(O)(O)(O)(O)

হেরম্ব যখন নতুন বাইক কিনল, সকলে মিলে  মিষ্টি খাওয়ানোর বায়না ধরল।

হামবড় হেরম্ব গাড়ি হাঁকিয়ে মুখ বাঁকিয়ে বলে গেল
' আগে মুখের মাপ নিয়ে আয় '।

মুখের মাপ, অর্থাৎ হা মুখের মাপ অর্থাৎ মুখ হা করা অবস্থায় দুই ঠোঁটের মধ্যবর্তী দূরত্ব,
কিন্তু তা কত?

আসলে হা মুখের দৈর্ঘ্য সকলের আলাদা রকম।
হা মুখের দৈর্ঘ্য ৪০--৬০ মিলিমিটার মত হতে পারে অর্থাৎ গড়ে প্রায় ৩৫--৫৫ মিলিমিটার (১.৪ -- ২.২ ইঞ্চি)মতন।

হাতের তিনটি আঙ্গুল যথা তর্জনী, মধ্যমা এবং অনামিকার মিলিত দৈর্ঘ্যের সমান বা একটু বড়।




দেখা গিয়েছে হা মুখের দৈর্ঘ্য ছেলেদের ক্ষেত্রে ৫১.৩±৮.৩ মিলিমিটার এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে তা হল  ৪৪.৩±৬.৭ মিলিমিটার।

হা মুখের ফাঁকা জায়গা বিশাল হওয়ায় গিনেস বুকে নাম উঠলো মার্কিন তরুণী সামান্থা রামসডেলের (Samantha Ramsdell)। তিনি ২ দশমিক ৫৬ ইঞ্চি (৬৫.0২৪ মিলিমিটার) তথা ৬.৫৬ সেন্টিমিটার
পর্যন্থ মুখ হা করে ফাঁকা করতে পারেন।



এই হা করা সম্ভব হয় কিভাবে?

নিচের চোয়াল এবং খুলি যে অস্থিসন্ধির মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে তার নাম টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্ট (টিএমজে)



{temporomandibular  joint (TMJ)}।




এই অস্থিসন্ধির সান্নিধ্যে থাকে বিভিন্ন পেশী এবং স্নায়ু যা মুখ বন্ধ বা খুলতে সাহায্য করে।



সবচাইতে বড় মুখের অধিকারী স্তন্যপায়ী প্রাণীর নাম
bowhead whale ধনুক মাথা তিমি,




বিজ্ঞান সম্মত নাম Balaena mysticetus।




এর মুখ ১৬ ফুট বা ৪•৯ মিটার লম্বা, ১২ ফুট বা
৩•৭ মিটার উঁচু এবং চওড়ায় প্রায় ৮ ফুট বা ২•৪ মিটার।



বড় প্রাণীর বড় ব্যাপার স্যপার।

দেখে নেওয়া যাক তাদের জীবনযাত্রার কিছু খন্ড মুহূর্ত





তবে এক ক্ষুদে প্রাণীও রয়েছে যার মুখই শিকারের হাতিয়ার।
সমুদ্রের এক শামুক বিশেষ, খোলক নেই অবশ্য
নাম মেলিবে ভিরিডিস Melibe viridis।




এরা ওই ৬--১২ সেন্টিমিটার মত লম্বা নরমদেহী খোলক বিহীন শামুক যার দেহে রয়েছে ৮টি খন্ড বা (lobe) যা দেহের দুইপাশে সমান ভাবে সাজানো।




হ্যাঁ এরা কিন্তু দাঁত ফোকলা কারণ এদেররাডুলার দাঁত (radular teeth) লুপ্ত হয়ে গিয়েছে।
তাতে কি? এদের রয়েছে মাছ ধরার জালের মত মুখ
বা বলতে গেলে মৌখিক পর্দা oral veil।




ছোট বেলায় যারা Hungry Hungry Hippo খেলনা দিয়ে খেলেছে ব্যাপারটা বুঝতে তাদের একটু সুবিধা হবে। এদের মুখের জালের মতো অংশটি শিকারের দিকে ছড়িয়ে দেয় এবং শিকার পাকড়াও করে।

এদের জালের ভিতরের অংশে অতি সংবেদী (sensory papillae) প্যাপিলার মত অংশ রয়েছে যাতে এরা ছোট ছোট সামুদ্রিক কীটের (tiny crustacean )অস্তিত্ব সহজেই টের পায়।

এদের অপর এক প্রজাতি ঘোমটা দেওয়া সমুদ্র শামুক সাহেবদের ভাষায় hooded sea slug
বা hooded nudibranch অথবা lion nudibranch
বিজ্ঞান সম্মত নাম Melibe leonina মেলিবে লিওনিনা আবার আর এক বিচিত্র পদ্ধতিতে শিকার ধরে।
সামুদ্রিক ঘাস বা কেল্পের (kelp) সঙ্গে নিজেকে আটকে রেখে মাথার ঘোমটা উপরে নীচে বা আসে পাশে নাড়াতে থাকে।
হতভাগ্য শিকার ঘোমটায় জড়িয়ে গেলেই काम खत्म।




কি মুখ হা হয়ে গেল?
আচ্ছা এইবার বলত বন্ধুরা মুখ গহ্বরের আয়তন কত?
বক্তব্য বিভাগে বিস্তারিত আলোচনা হোক তাহলে?
© Gautam Dutta


ছবি ও ছায়াছবি সূত্রে
অন্তর্জাল।
তথ্য সাহায্যে
Human anatomy and physiology
By Ross and Wilson
Biology of animals vol I
By Ganguly Singha Adhikary।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

স্বকাম সমাচার

নিষিদ্ধ অঙ্গের নিদানতত্ত্ব

ভবিষ্যতের ভয়