পোস্টগুলি

বৃহৎ ব্যেলান্টিডিয়াম বক্তব্য

ছবি
                        বলতাম ব্যেলান্টিডিয়াম কলি কথা 🦠🦠🦠🦠🦠🧫🧫🧫🧫🧫🥩🥩🥩🥩🥩 আচ্ছা প্রাচীন জানোয়ারের নাম কি?? ডাইনোসর, টাইটিনো বোয়া ইত্যাদি তাই না?? যদি নামই বলতে হয় তবে বলা ভাল, প্রাণী জগৎ দুই প্রধান সাম্রাজ্যে বিভক্ত  এককোষী বহুকোষী এখন বহুকোষী যারা তারা মেটাজোয়া metazoa সাম্রাজ্যের অধীনে। এককোষী দের মধ্যে যাদের নির্দিষ্ট নিউক্লিয়াস নাই তারা prokaryote প্রোক্যারিওট,  গ্রীক শব্দ প্রো মানে পূর্বে বা আগে এবং karyon ক্যারিঅন মানে বাদাম বা অন্তর্বীজ। সুতরাং প্রাচীন কোষ। এককোষী দের মধ্যে যাদের নির্দিষ্ট নিউক্লিয়াস আছে এবং সুন্দর করে অবরণীতে সংরক্ষিত তাদের বলে eukaryote ইউক্যারিওট। গ্রীক শব্দ ইউ মানে ভালো এবং karyon ক্যারিঅন মানে বাদাম বা অন্তর্বীজ। অতএব সুগঠিত কোষ। এই ইউক্যারিওট ধরাধামে এসেছে ২•১--১•৬ বিলিয়ন বছর আগে, সময়কাল কে বলা হয় প্রটোজোইক সময়কাল।  এরাই পৃথিবীর আদিম জানোয়ার। কেন?? সুগঠিত কোষ সহ , সমস্ত দোষ গুণাবলী সহ প্রকৃত জানোয়ার যে তাই। গ্রীক শব্দ protos প্রটোস মানে আদি এবং  জুন zoon মানে প্রাণী।  প্রোটোজোয়া মানে আদিম প্রাণী। আদি কিন্তু বর্তমান এক প্রাণীর আলোচন

গভীরে গোপন জীব

ছবি
                                   গভীর আরো গভীরে                                পর্ব ১ 🌍🌎🌏🌐🌐🌏🌎🌍🌍🌎🌏🌐🌐🌏🌎🌍 পরিবেশবিদ ও বিজ্ঞানী জেমস এফরাইম লাভলক্ (James  Ephraim Lovelock) ২০০৯ সালে তার লেখা বইতে  "The Vanishing Face of Gaia: A Final Warning,"  উল্লেখ করেছিলেন  মানবতা, পৃথিবীর সংক্রমণ [humanity is "Earth's infection."] ঠিক যেভাবে একটি আপেলকে বিভিন্ন পরজীবীরা মিলে সংক্রমিত করে। তবে সংক্রমণের কথাই যখন এলো তখন বলা ভাল এই সংক্রমণ 'ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে' অন্দরে অবধি হতে পারে।  আজ এই পর্বে জানার চেষ্টা করব কত ভিতর অবধি জীবন নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে? আগে জেনে নেওয়া যাক ভূ পৃষ্ট থেকে কেন্দ্র অবধি কি কি স্তর বিদ্যমান? ভূ পৃষ্ট থেকে প্রায় প্রায় ৩৫ কিলোমিটার গভীর অবধি  অংশের নাম Crust বা ভূত্বক।  ৩৫ থেকে প্রায় প্রায় ৬৭০ কিলোমিটার গভীর অবধি upper mantle বা উপরস্থ ভূ-আচ্ছাদন।  ৬৭০ থেকে প্রায় প্রায় ২৮৯০ কিলোমিটার গভীর অবধি lower mantle বা নিম্নস্থ ভূ-আচ্ছাদন।  ২৮৯০ থেকে প্রায় প্রায় ৫১৫০ কিলোমিটার গভীর অবধি outer core বা বহিঃস্থ মজ

কোষ্ঠ কাঠিন্য কাহিনী

ছবি
                                           কষ্টকর কঠিন কোষ্ঠ 🥴🥴🥨🥨🍤🥐🔬🌡️🧫🧪💊🪚⏳💩💩💩 দোর্দন্ড প্রতাপ শুভদেব নৃসিংহ ভাদুড়ীর সুবিশাল বৈঠকখানার একপ্রান্তে পাশাপাশি দুটি সেতখানা দেখে কৌতহল দমন না করতে পারে প্রশ্ন  করেছিলাম কেন?  উত্তরে জেনেছিলাম, তার টাট্টীঘরে কিঞ্চিৎ বেশি সময় লাগে, সেই সময়ে অপরের সময় এলে যাতে সময় নষ্ট না হয় তাই এই ব্যবস্থা আর কি....... সত্যি, হরেক রোগের ওষুধ বিক্রেতা ক্যানভাসার কিছু মিথ্যে বলে নি,  " মোহাম্মদ আলী থেকে অমিতাভ বাবু                         হাগুর কাছে সবাই কাবু" কষ্ঠীতে অনুল্লেখিত কষ্টকর কঠিন কোষ্ঠ কারে কয়? চর্ব্য, চোষ্য, লেহ্য, পেয় গ্রহণ তো হল,  বর্জনের নানা দিক বর্তমান, আট কুঠুরি নয় দরজা বলে কথা,  পায়ু তন্মধ্যে একটি। মুখ থেকে পায়ু অবধি ছোট বড়, রোগা মোটা নানা আকারের নল জুড়ে জুড়ে তৈরি হয়েছে আমাদের পৌষ্টিকতন্ত্র। ব্যাপারটিকে একটি ফ্যাক্টরির পরিবাহক বেল্ট বা " কনভেয়ার বেল্ট" এর সাথে তুলনা করা যায়, খাদ্য একদিক থেকে ঢুকছে, পৌঁছাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে, তাতে হচ্ছে নানা ক্রিয়া বিক্রিয়া অবশেষে সেই হরিদ্রাভ পীতবর্ণ  কট

জীবন্ত জীবাশ্মের জীবনী

ছবি
                     জীবন্ত অতীতের জীবনী   🌊🌊🌊🌊🌊🌊🌊🌊🌊🌊🌊🌊🌊🌊🌊  সময় ২০০৮ সাল, স্থান নীলরতন সিরকার হাসপাতালের সামনে ফুট ওভার ব্রিজের নিচের বেদী, প্রথমে মনে হল রান্না হচ্ছে, ছোটখাটো হোটেল গজিয়ে উঠল বুঝি, পরে জানা গেল হোটেল নয় তৈরি হচ্ছে अजीबो गरीब এক তেল যাতে সমস্ত রকম ব্যাথা হবে দূর, তৈরি হচ্ছে সেই মহাঔষধ যাতে পুরুষ হবে বীর্যবান, নারী পাবে সাদাস্রাব সহ নানা না বলা রোগ থেকে মুক্তি, শিশুর দাঁতে দাঁত কাটা রোগ गिली गिली ग़ायब हो…… কড়াইতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে জ্যান্ত জীবন্ত জীবাশ্ম, মুক জানোয়ারের আর্তনাদ পৌঁছাচ্ছেনা করো কানে, তার শক্ত কাঁটার মত লেজ ভেঙে তৈরি হচ্ছে মাদুলি, যার অত্যাসচর্য ক্ষমতায় সেরে যাবে যাবতীয় রোগ জ্বালা…... দেওয়ালের একদিকে বিজ্ঞানকে হাতিয়ার করে চলছে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই, অপরদিকে অপবিজ্ঞানের বলি হচ্ছে ৪৪৫০ লক্ষ বছর ধরে নিজেকে টিকিয়ে রাখা এক প্রজাতির নিষ্ঠুর নির্মম ধ্বংস যজ্ঞ। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে সেই বিস্ময়কর জীব রাজ কাঁকড়ার। সন্ধীপদী পর্বের এই প্রাণীর বর্গ Xiphosura, জিফোসুরা মানে সেই বর্গ যাতে মাকড়সা, কাঁকড়াবিছে, ছদ্ম কাঁকড়াবিছে ইত্যাদি পরে। এই বর্গের